নিজস্ব প্রতিবেদক::
জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউপি কৃষকলীগের নবগঠিত ৫১ সদস্যের কমিটির পরিচিতি সভা সোমবার রাতে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউপি কৃষকলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকিম হায়দর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক আব্দুল আহাদ, সদস্য সচিব বেলাল আহমদ, ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস সাত্তার, উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মাসুদ আহমদ, পৌরসভা যুবলীগের আহবায়ক কাউন্সিলর শাহাব উদ্দিন তাপাদার শাকিল।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মোস্তাকিম আলী, বদিউজ্জামান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি সিরাজ উদ্দিন, চেরাগ আলী, বাদল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান খাঁন, আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুর রহিম মাষ্টার, কৃষকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল খায়ের, ইউপি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম, শাহ আলম, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল গণি প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ইউপি আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে মালা দিয়ে বরণ করে নেন।
সভায় ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস ছাত্তার অভিযোগ করে বলেন, সরকার কৃষকদের মধ্যে সার বীজ বিতরণ করলেও প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সুলতানপুর ইউপিতে বন্টনকৃত সরকারী সার বীজ প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে বন্টন করা হয়নি। ভূয়া কৃষকদের মধ্যে সার বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ভূয়া কৃষকরা সরকারী সার বীজ বিক্রি করে দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
ইউপি কৃষকলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে সার বীজ বিতরণ করতে আমরা স্থানীয় কৃষি অফিসের সুপারভাইজার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করেছি। এরপরও ভূয়া কৃষকদের মধ্যে সার বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ভূয়া কৃষককে সার ও বীজ দেয়ায় তারা মুল্যবান সরকারী বীজ ভেঙে চাল তৈরী করেছে এবং সারগুলো বিক্রি করেছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম আলী হায়দর ও কৃষকলীগের আহবায়ক আব্দুল আহাদ বলেন, ভূয়া কৃষকদের মধ্যে সরকারী সার বীজ বন্টন করা হলে কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা। প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে সার বীজ বন্টন করতে হবে। সার বীজ বন্টনে অনিয়ম করা হলে প্রতিরোধ করা হবে। সম্প্রতি সময়ে যাদের মধ্যে সরকারী সার বীজ বন্টন করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। সরকারীভাবে তদন্ত করলে প্রমাণিত হবে শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে কৃষকদের কাছে দেয়া সার বীজ কি হচ্ছে। সরকার কৃষকদের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। সময় মত কৃষকদের হাতে সার বীজ পৌছে দিতে শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর। সরকারের সোনালী অর্জনকে নষ্ট করার চেষ্ঠা করা হলে কৃষকলীগ দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে বক্তারা হুশিয়ারী দেন।
Leave a Reply